পুইশাকের উপকারিতা ও অপকারিতা জেনে নিন বিস্তারিত
পুইশাকের উপকারিতা অপকারিতা অনেক।ইহাতে একদিকে যেমন রয়েছে উপকারিতা অন্যদিকে রয়েছে ঠিক অপকারিতা ।পুই শাকে আছে এন্টি অক্সিডেন্ট এবং প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ও পুষ্টিগুনআবার পুঁই শাক খেলে কি গ্যাস বৃদ্ধি পায় এবং পুইশাকের এলার্জি আছে কিনা এসব বিষয় সম্পর্কে আপনাদের মাঝে তুলে ধরার জন্য আজকের আর্টিকেলটি লিখা।
চলুন তাহলে জেনে নেওয়া যাক পুইশাকের উপকারিতা অপকারিতা গুলি কি কি এবং পুঁইশাক খেলে কি পরিমান গ্যাস সৃষ্টি হয় পুইশাকের ক্ষতিকর দিক গুলি কি কি পুইশাকের বিভিন্ন পুষ্টিগুণ এবং পুইশাকের ভিটামিন গুলো সম্পর্কে জেনে নিই বিস্তারিত।
ভূমিকা
পুঁইশাক বাংলাদেশের যতগুলো শাক আছে তার মধ্যে হচ্ছে সবার কাছে পছন্দনীয় এবং রুচিশীল একটি শাকএ কারণে বলতে পারি এটি একটি অন্যতম শাক। পুঁইশাক এ রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এ বি সি এবং ক্যালসিয়াম যা শরীরকে বৃদ্ধিতে সহায়তা করে এবং চোখের সুরক্ষা প্রদান করে থাকে ।পুঁই শাকে পিউরিন নামক এক প্রকার উপাদান বিদ্যমান আছে যা অতিরিক্ত গ্রহনের ফলে কিডনিতে পাথর হওয়ার সম্ভাবনা থাকে এবং পুইশাক কিডনি রোগীদের জন্য খাওয়া নিষেধ ।তাই প্রথমেই বলব পুঁইশাকের উপকারিতা ও অপকারিতা প্রত্যেকের জানা থাকা অবশ্যই জরুরী। এটাও জানা উচিত পুইশাকে এলার্জি আছে কিনা এবং পুঁইশাকেগ্যাস বৃদ্ধি পায় কিনা পুই শাকের পুষ্টিগুণ প্রতিদিন পুঁইশাক খেলে কি হয় এসব বিষয়গুলো।
পুইশাকের উপকারিতা ও অপকারিতা
পুঁইশাকের উপকারিতা ও অপকারিতা জানতে গেলে উপকারিতা গুলি জেনে নিই।পুঁইশাক একটি সুস্বাদু শাক ইহাতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ক্যালসিয়াম রয়েছে ভিটামিন গুলোর মধ্য ভিটামিন এ বি সি প্রধান পুঁইশাকের ভিটামিন গুলো ত্বকের রোগ জীবাণু দূর করে এবং তাকে উজ্জ্বল করে রাখতে সাহায্য করে এবং শরীরকে বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে পুঁইশাক চোখের দৃষ্টি শক্তি ভালো রাখতে সহায়তা করে।
পুঁইশাকের রয়েছে প্রচুর পরিমানেআশ যা পাকস্থলী ভালো রাখে বিভিন্ন প্রকার বর্ণের সমস্যায় ভালো কাজ করে। পুঁইশাক হজম শক্তি বৃদ্ধি করে এ কারণে পুঁইশাক খেলে দ্রুত গতিতে খাবার হজম হয় । পুইশাক ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য খুবই উপকার করে থাকে পুইশাকের ক্যালসিয়াম হাড়কে মজবুত করতে সহায়তা করে।হ্যাঁ, এতক্ষণ জানলাম পুইশাকের উপকারিতার কথা চলুন তাহলে এখন জেনে নেই পুঁইশাকের অপকারিতা গুলি সম্পর্কে।
পুঁইশাকের অপকারিতা
পুঁইশাক এলার্জি থাকায় যদি কোন ব্যক্তি এলার্জির সমস্যা থেকে থাকে তাহলে পুইশাক খাওয়া থেকে বিরত থাকাই ভালো পুইশাক অতিরিক্ত গ্রহণ করলে ইহাতে শরীরের বিভিন্ন ক্ষতিসাধন হয়ে থাকে। যদি কোন ব্যক্তি কিডনি রোগী হয়ে থাকেন তাহলে তার জন্য একেবারে নিষেধ এবংইহা মারাত্মক ক্ষতিকর। হজমশক্তিতে সহায়তা করায় যা বেশি পরিমাণ খেলে অনেক সময় ডায়রিয়া দেখা দিতে পারে।
পরিমাণমতো খাওয়া ভাল। যাদের কোনো প্রকার অ্যাজমা সমস্যা রয়েছে তাদের একেবারে পুঁইশাক না খাওয়াই ভালো। আমরা তাহলে জানতে পারলাম পুইশাকের উপকারিতা ও অপকারিতার দিক গুলি।এবার আমরা জানবো প্রতিদিন পুইশাক খেলে কি হয় চলুন তাহলে জেনে নিই প্রতিদিন পুইশাক খেলে কি হয়।
প্রতিদিন পুইশাক খেলে কি হয়
পুঁইশাক একটি আশ জাতীয় শাক হওয়ায় প্রতিদিন পুঁইশাক খেলে ডায়াবেটিস কিছুটা হলেও কমায় ।ইহা কোলন ক্যান্সারের মত ক্যান্সার গুলোকে প্রতিরোধ করে শরীরে ব্লাড প্রেসার কমায় হজমের শক্তি বৃদ্ধি করে শিশুদের শরীরকে বাড়তে সহায়তা করে শরীরের এনার্জি বৃদ্ধি করে ত্বক এবং শরীরকে রাখে সুস্থ ও সতেজ। শরীরের বিভিন্ন বজ্র পদার্থ বের করতে সহায়তা করে।
পুইশাক কোষ্ঠকাঠিন্য তা দূর করে পুঁইশাক পেটের হজম শক্তি বৃদ্ধিতে ভালো উপকার করে সে কারণে ইহা কখনো বদ হজমের সৃষ্টি করে না। মানুষের শরীরে যে ভিটামিন এ বি সি প্রয়োজন এই পুঁইশাক প্রতিদিন খেলে সেগুলো পরিপূর্ণভাবে পূরণ হয়।
পুঁইশাক খেলে কি এলার্জি হয়
পুইশাক খেলে কিএলার্জি হয় হ্যা পুঁই শাক খেলে মানুষের শরীরে বিভিন্ন রকম এলার্জি দেখা দিতে পারে যেমন অনেক সময় শরীর চুলকায় এবং শরীরে বিভিন্ন রকম সমস্যা দেখা দিতে পারে ছোট ছোট দানার মত চুলকানির চোখের সমস্যা হতে পারে চোখে লাল হওয়া চোখ সুরসুর করা ইত্যাদি। তবে পুঁইশাকে আপনার শরীরে এর জন্য এলার্জি আছে কিনা সেজন্য আপনাকে পুঁইশাক খেতে হবে।
খাওয়ার পরে যদি আপনার শরীরে এলার্জির বা অন্য কোন সমস্যা দেখা দেয় তাহলে আপনি পুইশাক খাওয়া থেকে বিরত থাকবেন ।যাদের জন্য একেবারে খাওয়া উচিত নয় যদি আপনি একজন কিডনি রোগী হয়ে থাকেন এবং আপনার শরীরের বিভিন্ন প্রকার এলার্জি থেকে থাকে এবং জানতে পারেন যে পুইশাক আপনার অ্যালার্জি বৃদ্ধি করে তাহলে আপনি কখনোই পুইশাক খাবেন না।
পুঁইশাক খেলে কি গ্যাস হয়।
পুঁইশাক খেলে গ্যাস হয় এই রকম এখন পর্যন্ত কোন তথ্য পাওয়া যায় নাই তবে প্রথমে আপনাকে বলে রাখি পুই শাকে হয় কিনা এজন্য আপনাকেপুইশাক খেয়ে দেখতে হবে এবং খেতে হবেখাওয়ার পর যদি আপনি বুঝতে পারেন আপনার পেটে গ্যাসের সমস্যা হচ্ছে তাহলে আপনি পুঁইশাক খাওয়া থেকে অবশ্যই বিরত থাকবেন।তবে পুইশাকে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার আছে ।
ফাইবার এর কারনে পেট কে ভালো রাখতে সহায়তা করে এবং গ্যাস বদহজম একসিডিটি সহ নানা সমস্যা তে সহায়তা করে।পেটের মধ্যে যদি হালকা কোন সমস্যা থেকে থাকে তাহলে পুঁইশাক আপনি খেতে পারেন ইহাতে আপনার কোন সমস্যা হবেনা । আমরা পুঁইশাকের উপকারিতা ও অপকারিতা পুইশাকখেলে গ্যাস হয় কিনা প্রতিদিন কি পুইশাক খেলে কিহয় এবংপুইশাকে এলার্জি হয় কিনা এ বিষয়গুলো সম্পর্কে আমরা কিছুটা হলেও জানতে পেরেছি চলুন এর সাথে জেনে নিই পুঁইশাকের বিচির উপকারিতারও কথা ।
পুঁইশাকের বিচির উপকারিতাে
আমরা উপরের আলোচনায় পুঁই শাকের উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে জানতে পেরেছি আমরা এটাও জেনেছি পুইশাকেএলার্জি হয় কিনা এবং পুই শাক গ্যাস সৃষ্টি করে কিনা এ আলোচনায় জানবো পুইশাকেরবিচির বিভিন্ন উপকারিতার কথাপুইশাকে যেমন রয়েছে বিভিন্ন প্রকার ভিটামিন এবং ক্যালসিয়াম এর মত পুষ্টিগুন ।
ঠিক সেই রূপ পুইশাকের বিচিতে রয়েছে বিভিন্ন প্রকার ভিটামিন ক্যালসিয়াম এবং পুষ্টিগুণ যেটা মানুষের দেহের শুক্রানুর বৃদ্ধিতে সহায়তা করে এতে রয়েছে ফলিক এসিড আয়রন এবং জিংক যা ত্বকের রোগ জীবাণু দূর করে এবং সৌন্দর্য বৃদ্ধিতে সহায়তা করে চোখের দৃষ্টি শক্তি রক্ষার্থে সহায়তা করে এবং হাড় মজবুত করে চুলকে মজবুত করে রাখতে সহায়তা করা এবং উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করে।বিশেষ করে পুইশাকের বিচি পেটের কষ্টকাঠিন্যতা দুর করে।
পুইশাকের পুষ্টিগুণ রয়েছে
অন্যান্য শাকের মতো পুঁইশাকও রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ও পুষ্টিগুণ। পুঁইশাক খেলে মানুষের রক্ত পরিষ্কার রাখে এবং রক্ত সঞ্চালনের সহযোগিতা করে পুঁইশাক পেটের বিভিন্ন রকম সমস্যা দূর করে থাকে পুইশাক চোখের বিভিন্ন রকম সমস্যাগুলো দূর করতে সহযোগিতা করে।ছোট ছোট শিশু বাচ্চাদেরকে পুঁই শাক দিয়ে খিচুরি রান্না করে খাওয়ালে বাচ্চাদের একদিকে পেট ভরে থাকবে এবং অন্যদিকে শরীর বৃদ্ধিতে সহযোগিতা করবে ।
লেখক এর মন্তব্য
আমার মতে সকল খাদ্য দ্রব্যের উপকারিতা ও অপকারিতা রয়েছে ঠিক পুই শাকের ও রয়েছে উপকারিতা ও অপকারিতা এবং বিভিন্ন পুষ্টিগুনে সমৃদ্ধ তবে যে কোন প্রকার খাবার গ্রহণের সময় পরিমাণ মতো খাওয়া উচিত এবং যেগুলো খাবার খেলে নিজে নিজে কিছু সমস্যা অনুভব করতে পারেন সে খাবার গুলো খাওয়া থেকে বিরত থাকা উচিত।
পরিশেষে একটি কথা বলব আমার এই ছোট আর্টিকেলটি যদি ভালো লেগে থাকে অথবা কোন উপকারে আসে তাহলে আপনার বন্ধু-বান্ধব এবংআত্বীয় সজনদের মাঝে শেয়ার করুন ধন্যবাদ এতক্ষণ যাবৎ সঙ্গে থাকার জন্য পরবর্তীতে আর্টিকেল পেতে ভিজিট করুন মিলন এ টু জেড ডট কম ।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url