বাচ্চাদের মোবাইলে আসক্তি কমানোর উপায় জেনে নিন









বর্তমান প্রযুক্তির যুগে মোবাইল যেমন আমাদের অনেক উপকার করে থাকে সেই সাথে মোবাইল আমাদের কিছু কিছু অপকার করে থাকে কিন্তু আমরা মোবাইল ব্যবহারের ফলে আমাদের বাচ্চারাও অনেক সময় মোবাইলের প্রতি আসক্তি হয়ে পড়ে।আমরা অনেকেই জানিনা বাচ্চাদের মোবাইল আসক্তি কমানোর উপায় সমূহ। তাই আজকের এ আলোচনায় আমরা জানবো বাচ্চাদের মোবাইল আসক্তি কমানোর উপায় গুলো সম্পর্কে।
বাচ্চাদের মোবাইল আসক্তি কমানোর উপায় জেনে নিন

চলুন তাহলে জেনে নেওয়া যাক আমাদের সকলের ছোট ছোট বাচ্চাদের মোবাইল আসক্তি কমানোর উপায় গুলি কি কি এবং কিভাবে আমরা বাচ্চাদের মোবাইল আসক্তি থেকে দূরে রাখতে পারি সে সম্পর্কে জেনে নিই।

ভূমিকা

আমরা কমবেশি সকলে বর্তমান যুগে মোবাইলেকথা বলে থাকি মোবাইলের মাধ্যমে আমরা এক স্থান থেকে অন্য স্থানে কথা বলতে পারি এক দেশ থেকে অন্য দেশে কথা বলতে পারি আমার মোবাইলের মাধ্যমে ভিডিও করতে পারি এবং মোবাইলের ক্যামেরা দিয়ে ছবি তুলতে পারি সেহেতু মোবাইল আমাদের অনেক উপকারে আসে ।এক কথায় প্রযুক্তি যুগে মোবাইল আমাদের জীবনসঙ্গী হয়ে দাঁড়িয়েছে মোবাইল এক মুহূর্তের জন্য না থাকলে মনে হয় কি যেন পাশে নেই এই সাথে সাথে আমাদের বাচ্চা গুলো মোবাইলে আসক্তি হয়ে পড়েছে তাই আমাদের সকলের জানা উচিত বাচ্চাদের মোবাইলে আসক্তি কমানোর উপায়।

বাচ্চাদের মোবাইল আসক্তি কমানোর উপায় জেনে নিন

প্রথমে বলা যায় বাচ্চাদের মোবাইল দেওয়া একেবারে উচিত না। যতদূর সম্ভব বাচ্চাদের সামনে মোবাইল ব্যবহার করা থেকে দূরে থাকতে হবে বাচ্চাদেরকে সূজন শীল কাজে ব্যস্ত রাখার চেষ্টা করতে হবে মোবাইলে পাসওয়ার্ড দিয়ে রাখার ব্যবস্থা করতে হবে বাচ্চাদেরকে মুক্তাঙ্গনে চলাফেরা কিংবা খেলাধুলার ব্যবস্থা করতে হবে।

যদি কখনো কখনো বাচ্চাদের অল্প অল্প মোবাইল দিতে হয় তবে সময় বেঁধে দিতে হবে আপনি প্রাথমিকভাবে এ সকল টিপসগুলো ব্যবহার করে বাচ্চাদের মোবাইল থেকে আসক্তি কমানোর উপায় বেছে নিতে পারেন। তারপরে বাচ্চাদের সাথে সময় কাটান গল্প করেন বাচ্চাদেরকে ঘোরাফেরা করতে নিয়ে যেতে পারেন এ থেকে বাচ্চারা মোবাইল আসক্তি থেকে দূরে থাকবে। 

দেখা যায় আমাদের সমাজে অনেক পিতা-মাতা অবাধ্য অনেক সন্তানকে হাতে মোবাইল দিয়ে পাশে বসে রাখেন এ থেকে ওই বাচ্চা মোবাইলে আসক্তি হয় এবং অনেক পিতা-মাতা কোন কোন বাচ্চা খাওয়ার প্রতি অনুগ্রহ দেখালে সে বাচ্চাকে হাতে মোবাইল দিয়ে থাকেন আর এ মোবাইল দেয়ার কারণে বাচ্চাকে দিন দিন মোবাইলের প্রতি আসক্তি করেন এতে শিশুদের মানসিক বিকাশ চরমভাবে বাধাগ্রস্ত হয় ।

যেটা আমার আপনার সকলের অজানা তাই বাচ্চার হাতে মোবাইল দেওয়া থেকে দূরে থাকুন। এতে করে আপনার বাচ্চা মোবাইল থেকে অনেকখানি দূরে সরে আসবে ।আমরা যে আলোচনায় জানতে পারলাম বাচ্চাদের বাচ্চাদের মোবাইল আসক্তি কমানোর উপায় সম্পর্কে অনেক কিছু আমরা সামনের আলোচনায় যাদের মোবাইল আসক্তি কমানোর উপায় সম্পর্কে জেনে নিব আরো বিস্তারিত।

বাচ্চাদের মোবাইল আসক্তির কুফল

মোবাইল আসক্তি হচ্ছে একটি নেশাগ্রস্তর মতই দেখা যায় কোন কোন ক্ষেত্রে। ইহা সোশ্যাল মিডিয়া ইন্টারনেট গেম এবং নেশা যাত দ্রব্যের আসক্তির মতোই একটি নেশা ধরা যেতে পারে।অতিরিক্ত ব্যবহারের ফলে মানুষের এবং স্বাভাবিক সমস্যা দুটো হয়ে থাকে করে চোখের সমস্যা বেশি হয়। অনেক সময় বাচ্চাদেরকে মোবাইলে কাটুন দেখে এবং গান চালিয়ে অনেক কিছু দেখতে দেওয়া হয়।

সে থেকে বাচ্চারা মোবাইলে প্রতি আসক্তি হয়।মোবাইল ফোন মানুষের কল্যানে যেমন অভাবনীয় অতুলনীয় বিপ্লব ঘটেছে ঠিক তেমনি কিছু কিছু ক্ষেত্রে এর অনেকটা ক্ষতির মাত্রা বৃদ্ধি পেয়েছে এবং সেখান থেকে তৈরি হয়েছে ।মোবাইল ফোন ব্যবহারের ফলে শিশুদের সামাজিক দক্ষতা নষ্ট করেছে যার জন্য শিশুদের বিভিন্ন ধরনের মানসিকতা শারীরিক সমস্যা তৈরি হয়েছে ।

মোবাইল আসক্তি করা শিশুদের নামাজ আর সমস্যা হচ্ছে মোবাইলের দিকে দৃষ্টি দিয়ে দীর্ঘ সময় বসে থাকার ফলে শিশুদের নিষ্ঠুরতা বেড়েছে শিশুরা সামাজিকভাবে বেড়ে উঠতে পারছে না মায়া মমতার জায়গার অপূর্ণ থাকছে এভাবে লয়ে ওঠা শিশুদের ভবিষ্যৎ অত্যন্ত ভয়ানক আমাদের প্রত্যেকের উচিত বাচ্চাদের মোবাইল আসক্তি কমানোর উপায় গুলো জানা এবং সে অনুযায়ী বাচ্চাদের প্রতি দৃষ্টি রাখা।


বাচ্চাদের মোবাইল আসক্তির কারণ কি কি

বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে বাচ্চারা মোবাইলে আসক্তি হয় মূলত বাবা মা সন্তানের সাথে আমার না কাটানো পর্যাপ্ত পরিমাণ ফেলার সাথে অভাব এবং সেইসাথে খেলার মাঠের অভাব অনেক বিশেষজ্ঞের মতে ইহা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ও ইন্টারনেট গেম আসক্তির মতোই এবং নেশাজাত দ্রব্যের আসক্তির মতোই। 

আবার অনেক পিতা-মাতা আছেন যারা সন্তানকে মোবাইল ফোনের লোভ দেখিয়ে  অনেক কিছু কাজ করিয়ে নেন যেমন পড়তে বসান মোবাইল দেখতে দেখতে খাওয়ানো এবং মোবাইল হাতে দিয়ে বাড়ির বাইরে যেতে না দেওয়া ইত্যাদির কারণে অনেক সময় বাচ্চারা প্রচুর পরিমাণে মোবাইলের প্রতি শক্ত হয় অতএব সকালের বাচ্চাদের হাতে যতদূর সম্ভব সম্ভব মোবাইল দেওয়া থেকে দূরত্ব রাখতে হবে এতে করে আপনার বাচ্চার শারীরিক সমস্যা থেকেও মানুষিক সমস্যা থেকেও বাঁচতে পারবেএবং বাচ্চাদের মোবাইল আসক্তি কমানো সম্ভব।


প্রযুক্তি আসক্তির প্রতিকার

মোবাইল অর্থাৎ প্রযুক্তি আসক্তি থেকে প্রতিকার উপায় বের করতে হবে নিজেকে নিজের বাসায় থাকার সময় তাদের সামনে মোবাইল ব্যবহার করতে হবে কম।সব সময় চেষ্টা করতে হবে মোবাইল রিসিভ করা ছাড়া অন্য ধরনের অপশন গুলো বন্ধ করা মোবাইলের নোটিফিকেশন বন্ধ রাখা প্রতিদিন সকালে ঘুম থেকে উঠানো এবং নিজে উঠা আপনার সন্তান হয়তো আপনাকে দেখে শিখবেএবং সন্তানেরা প্রতিনিয়ত পিতা-মাতা এবং বড়দের দেখেই সেটা শিখে থাকে।

শিক্ষাথীদের মোবাইল আসক্তি

আমাদের সমাজে শিক্ষার্থী দের পড়ার পাশাপাশি ছাত্র-ছাত্রীদের বর্তমানে নতুন করে বাসা বেধেছে নতুন এক উপদ্রব হিসেবে মোবাইল ফোন আসক্তি । মোবাইল ফোন আমাদের দৈনন্দিন জীবনে বিভিন্ন কর্ম ক্ষেত্রে বিভিন্ন জায়গায় আমাদেরকে এগিয়ে নিয়েছে ঠিক আরেক দিকে বলতে গেলে আমাদেরকে বিভিন্ন দিকে নেশাগ্রস্থ মতো আসক্তি করে রেখেছে ।

যেমন অনলাইনে ক্লাস গুলো যেমন উপকার করে অনেকটা অপকারও করে থাকে ।করনা মহামারির সময় আমাদের অভিভাবকদের ছেলে মেয়েদের হাতে তুলে দিতে হয়েছিল অনলাইন ক্লাসের জন্য স্মার্টফোন অর্থাৎ স্মার্ট মোবাইল ফোন ।সে সময় অনলাইন লেখাপড়া নামে ছেলে মেয়েদের হাতে তুলে দিতে হয়েছিল নেশার মতো এক মরণ নেশা।

 মোবাইল ফোন থেকে অনেক ছেলেমেয়ে মোবাইলের প্রতি আসক্তি হয়ে পড়েছিল যেমন pubg ফ্রী ফায়ার পর্নোগ্রাফি ভিডিও অ্যাপস এবং ইউটিউব এর প্রতি শিক্ষার্থীদের আসুক কি করে ফেলেছিল এ মোবাইল ফোন ।তাই আমারও যেটি না বললে নয় সেটি হচ্ছে বাচ্চাদের মোবাইল ফোন আসক্তি থেকে দূরে রাখার উপায় গুলো প্রতিটি পিতা মাতার অনুভব এর জানা অত প্রয়োজন।

লেখকের মন্তব্য

আমার মতে আমরা যারা পিতা-মাতা এবং অভিভাবক আছি তারা সকলেই যেন আমাদের বাচ্চাদেরকে এবং ছেলে মেয়েদের প্রতি সুদৃষ্টি দিতে পারি এবং মোবাইল আসক্তি থেকে দূরে রাখতে পারি তাহলে আমাদের কমল মতি সন্তান গুলো মোবাইল আসক্ত থেকে দূরে সরে দাঁড়াবে এবং একদিন অবশ্যই মানুষের মতো মানুষ হতে পারবে ।

পরিশেষে আমার এ আর্টিকেলটি যদি আপনাদের সামান্য উপকারে আসে এবং ভালো লেগে থাকে তাহলেআপনাদের বন্ধু-বান্ধব আত্মীয়-স্বজনদের মাঝে শেয়ার করুন এবং পরবর্তী আর্টিকেল পেটে ভিজিট করুন মিলন এ টু জেড ডট কম ।ধন্যবাদ এতক্ষণ যাবৎ সময় দেওয়ার জন্য।


























এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url