জাতীয় ফল কাঁঠালের পুষ্টিগুণ ও উপকারিতা অপকারিতা
জাতীয় ফল কাঁঠালের পুষ্টিগুণ ও উপকারিতা অপকারিতামানব দেহের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ এটি হচ্ছে একটি সুস্বাদু ফল । মানুষের দেহে যে সকল পুষ্ট থাকা দরকার তার সবগুলো রয়েছে কাঁঠালের মধ্যে কাঁঠালের বৈজ্ঞানিক নাম Artocarpus heterophyllus ইংরেজিতে বলা হয় Jacfruit ।
চলুন তাহলে আজকের আর্টিকেলের মধ্যে জেনে নেওয়া যাক জাতীয় ফল কাঁঠালের পুষ্টি গুন উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত।
ভূমিকা
জাতীয় ফল কাঁঠালের পুষ্টিগণ ও উপকারিতা অপকারিতা মানব দেহের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ পাকা কাঁঠাল মানব শরীরের জন্য খুবই উপকারী । কাঠালে বিদ্যমান যতগুলো ভিটামিন রয়েছে তার সবগুলো মানবদেহের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ কাঁঠালের বিচি অনেক সময় দেহে পুষ্টিগুণ যোগায় ।
জাতীয় ফল কাঁঠালের পুষ্টিগুণ ও উপকারিতা অপকারিতা
জাতীয় ফল কাঠালের পুষ্টিগুন ও উপকারিতা অপকারিতা মানব দেহের জন্য গুরুত্ব পূর্ণ ।কাঠালে প্রচুর পরিমানে আয়রন বিদ্যমান রয়েছে যা রক্ত সল্পতা দুর করতে সাহায্য করে । কাঠাল বদ হজম কমাতে খুবই উপকারী ফল । কাঠাল গরিবের পুষ্টির রাজা খাদ্য হিসেবে ব্যবহার হয়ে থাকে কাঠাল কাচা পাকা সব ভাবেই খাওয়া যায় ।কাঠালের বীজ খোসা শিকর এগুলে বিভিন্ন ভাবে খাওয়া যায় ।
কাঠালে থাকা ভিটামিন সি দাঁত ও দাতের মাড়ি এবং চুল সুস্থ রাখে । কাঁঠালে থাকা ভিটামিন এ চোখের দৃষ্টি শক্তি ভালো রাখে ।কাঠাল ব্লাড সুগার নিয়ন্ত্রন রাখে কাঠাল কোষ্টকাঠিন্য দুর করে কাঠাল ত্বকের উজ্জলতা বৃদ্ধি করে এবং বলিরেখা কমিয়ে তারুণ্য ধরে রাখতে সাহায্য করে ।কাঁঠালে রয়েছে ক্যালোরি যা তাড়াতাড়ি শক্তি যোগায় ।কাঠাল খেলে দুগ্ধ দানকারী মায়ের দুধের পরিমান বৃদ্ধি পায় ।
কাঁঠাল গভবতী মায়ের এবং শিশুর সকল পুষ্টির অভাব দুর করে থাকে ।কাঁঠাল খেলে ক্যান্সারের ঝুকি কমে অনেক খানি শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে। কাঁঠালের থাকা ম্যাগনেসিয়াম ও ক্যালসিয়াম হাড়ের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে এবং পাশাপাশি হাড়কে শক্তিশালী করতে সহায়তা করে ।কাঁঠালের প্রচুর পরিমাণে আয়রন থাকে যে আমাদের মুভমেন্টের সহায়তা করে আমাদের সুস্থ রাখতে সহায়তা করে।
কাঁঠালের যে অংশটা হলুদ আমরা দেখি সেটি পুরোপুরি ভিটামিন এ সমৃদ্ধ । কাঠাল বাংলাদেশ এবং শ্রীলংকার জাতীয় ফল হিসেবে পরিচিত।জাতীয় ফল কাঠালের পুষ্টিগুন ও উপকারিতা অপকারিতা অপরিসীম ।
পাকা কাঁঠালের উপকারিতা ও অপকারিতা
পাকা কাঠালে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন রয়েছে মিনারেল কপার ম্যাগনেসিয়াম ভিটামিন এ সি ই যা শরীরের রক্ত তৈরি হয়। অনেক মহিলা আয়রনের ঘাটতির কারণে রক্তস্বল্পতায় ভুগেন ।পাকা কাঁঠাল খেলে সে রক্তস্বল্পতা দূর হবে ।কাঁঠালের প্রচুর ফাইবার এবং প্রোটিন রয়েছে ডায়াবেটিস রোগীরা কাঁঠাল খেতে পারেন এতে তাদের সুগার নিয়ন্ত্রণ থাকবে কোন প্রকার সমস্যা হবে না।
কাঁঠালের প্রচুর পরিমাণ ক্যালসিয়াম রয়েছে যেটি মানবদেহের হাড়কে মজবুত রাখতে সহায়তা করবে বর্তমানে বাজারের রসালো ফলের সমাহার। চারদিক রসালো ফলের ঘ্রানে মুখরিত হয়ে আছে এর মধ্যে একটি রসালো ফল হল কাঁঠাল। যেটিতে রয়েছে হাজারো পুষ্টিগুণ কাঠালে নানারকম রোগ সারাই কাঁঠাল খুবই উপকারী একটি ফল স্বাস্থ্যের জন্য।
জাতীয় ফল কাঁঠালের পুষ্টিগণ ও উপকারিতা ও অপকারিতা মানব দেহের জন্য গুরুত্ব অপরিসীম। পাকা কাঁঠাল বেশি খেলে কিংবা অতিরিক্ত খেলে আপনার পেটের সমস্যা হতে পারে যেমন পেট ফাঁপা অজীণ বমি বমি ভাব ইত্যাদি অতএব পরিমাণ মতো খাওয়ায় ভালো।
কাঁচা কাঁঠালের উপকারিতা
কাঁচা কাঁঠাল মানবদেহের অনেক উপকার করে থাকে কাঁচা কাটালে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন এ থাকে ইহা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় কাঁচা কাঁঠাল রান্না করে খেলে আপনাকে বিভিন্ন ধরনের রোগের সংক্রমণ থেকে দূরে রাখে তাই এটি সবজি হিসেবে খেলে অনেক ধরনের চাহিদা পূরণ হয় কাঁচা কাঁঠাল আপনার ওজন কমাতে সাহায্য করে।
কাঁচা কাঁঠাল হচ্ছে একটি আশ জাতীয় খাবার যা দীর্ঘক্ষণ পেট ভরে রাখতে সহায়তা করে ।কাঁঠালে হজম শক্তি বাড়ায় এবং পেট রাখে পরিষ্কার এটি একটি ফাইবার সমৃদ্ধ ফল কাঁঠাল কলোন ক্যান্সার কমাতে পারে এবং কোষ্ঠকাঠিন্যর মত রোগ দূর করে ।কাঁঠাল হচ্ছে একটি পুষ্টিকর ফল পাকা কাঁঠাল মিষ্টি বেশি কিন্তু কাচা কাঁঠাল ভীষণ উপকার করে থাকে ।
পাকা কাঁঠালের উপকারিতা কাঁচা কাঁঠালের চেয়ে কম নয়। কাঁচা কাঁঠাল খেলে আপনাকে সব সময় পরিমাণ মতো খেতে হবে যাতে করে অতিরিক্ত খাওয়া না হয় যে কোন খাবার জিনিস পরিমাণ মতো খাওয়ায় ভালো ।অতিরিক্ত খেলে আপনার শরীরের ক্ষতি হতে পারে এবং বদহজম গ্যাস্ট্রিক ইত্যাদি বেড়ে যেতে পারে।
কাঁঠালের বিচির উপকারিতা
কাঁঠালের বিচি অনেক উপকারী ইহাতে রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট অনেক প্রকার উদ্ভিদ কাঁঠালের বিচি অনেক মানুষের প্রিয় খাবার ধরা যায় বর্তমানে আমাদের দেশে চলছে কাঁঠালের মৌসুম এখন যদি সবাই না খায় কিন্তু এর বিচি এবং বিচি থেকে তৈরি কৃত অনেক সুস্বাদু খাবার সবাই খাই যেমন কাঁঠালের বিচির হালুয়া বিচির ভর্তা ইত্যাদি। শরীর সুস্থ রাখতে কাঁঠালের বিচি খেতে পারেন।
কাঁঠালের বিচিতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণ থায়ামিন যুক্ত এ দুটোই হচ্ছে ভিটামিন বি এরা শরীরে শক্তি যোগায় মাংসপেশির রক্ষণাবেক্ষণ করে থাকে কাঁঠালের বিচি আয়ুর্বেদিক চিকিৎসার ব্যবহার হয়ে থাকে ডায়রিয়া এবং গ্যাসের সমস্যায় কাঁঠালের বিচির তুলনা হয় না ।এজন্য জাতীয় ফল কাঁঠালের উপকারিতা অনেক বেশি।
পাকা কাঠালের উপকারিতা এবং কাঁচা কাঁঠালের উপকারিতার সাথে সাথে বিচির উপকারিতা কম না আপনি চাইলে দীর্ঘদিন যাবত কাঁঠালের বিচি সংরক্ষণ করে রেখে দিতে পারেন পরে খাওয়ার জন্য ।
কাঁঠাল কাদের খাওয়া উচিত নয়
যাদের কোন প্রকার রক্ত সংক্রান্ত রোগ আছে তাদের একেবারেই কাঁঠাল খাওয়া উচিত নয় ডায়াবেটিস রোগীরা কাঁঠাল খাবেন তবে পরিমিত আকারে খাওয়া ভালো কিছু কিছু মানুষের কাঁচা কিংবা পাকা উভয় প্রকার কাঁঠাল একেবারে খাওয়া উচিত নয় যদি তাদের চিকিৎসক নিষেধ করে থাকেন কাঁঠাল খেলে যাদের অ্যালার্জি হয় কারো আবার বায়ু জনিত বসন্ত ঋত অ্যালার্জি হয় তাদের একেবারে কাঁঠাল খাওয়া ঠিক নয়
আবার কিছু ওষুধ আছে যেগুলো খেলে কাঁঠাল খাওয়া উচিত নয় তা না হলে আপনার ঘুমের সমস্যা সহ নানা সমস্যা করতে পারে যদিও গর্ভকালীন সময় কাঁঠাল উপকার করে থাকে তারপরও যদি গর্ভবতী মায়ের কাঁঠাল খেলে সমস্যা হয় তাহলে সেটা একেবারে খাওয়া ঠিক হবে না ।এখন চলছে কাঁঠালের মৌসম যদি আপনি সকল সময় ঘুরতে ফিরতে কাঁঠাল খেয়েচলেছেন তাহলে আপনার সমস্যা হতে পারে ।মনে রাখবেন যে কোন জিনিসের অপকারিতা থাকতে পারে সে বিষয়ে খেয়াল রাখতে হবে।
কাঁঠাল খেলে কি ক্ষতি হয়
অতিরিক্ত কাঁঠাল খেলে হজমের সমস্যা হতে পারে কাঁঠালের চর্বির পরিমাণ কম থাকায় ওজন বাড়ার কোনো সম্ভাবনা নাই ।যাদের কিডনি রোগে আক্রান্ত পটাশিয়ামের মাত্রা বেশি তাদের কাঁঠাল খাওয়া ঠিক নয় ।আপনি যদি সার্জারি রোগী হয়ে থাকেন তাহলে পরিমাণ মতো কাঁঠাল খেতে হবে। যারা ডায়াবেটিস রোগী রয়েছেন তাদের কাঁঠাল বেশি খাওয়া ঠিক নয় তাদের ক্ষতি হতে পারে ।
জাতীয় ফল কাঁঠালের পুষ্টিগুন উপকারিতা অনেক তবে অবশ্যই প্রতিটি মানুষকে সঠিক নিয়মে পরিমাণ মতো শুধু কাঁঠাল নয় সকল প্রকার ফল কিংবা খাদ্য খাওয়া উচিত।
লেখকের মন্তব্য
আমার মতে জাতীয় ফল কাঁঠালের পুষ্টিগণ ও উপকারিতা ও অপকারিতা অনেক ।পাকা কিংবা কাঁচা কাঁঠাল যাই হোক না কেন প্রত্যেকের উচিত নিয়ম করে কাঁঠাল সহ যেকোনো খাবার খাওয়া ।তাহলে আপনার দেহ থাকবে সুস্থ এবং মন থাকবে প্রফুল্ল। একজন মানুষের শরীর যদি সুস্থ থাকে তাহলে মন সুস্থ থাকবে এটাই স্বাভাবিক ।সুস্থ থাকতে হলে আপনাকে অবশ্যই পরিমাণ মতো খাবার খেতে হবে।
উপসংহার
আমার এ আর্টিকেলটি যদি আপনাকে ভালো লেগে থাকে কিংবা আপনার সামান্য উপকারে আসে তাহলে বন্ধু-বান্ধব সহ আত্মীয় স্বজনের মাঝে শেয়ার করুন ধন্যবাদ পরবর্তী আর্টিকেল পেতে ভিজিট করুন অথবা সঙ্গে থাকুন।
চলুন তাহলে আজকের আর্টিকেলের মধ্যে জেনে নেওয়া যাক জাতীয় ফল কাঁঠালের পুষ্টি গুন উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত।
ভূমিকা
জাতীয় ফল কাঁঠালের পুষ্টিগণ ও উপকারিতা অপকারিতা মানব দেহের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ পাকা কাঁঠাল মানব শরীরের জন্য খুবই উপকারী । কাঠালে বিদ্যমান যতগুলো ভিটামিন রয়েছে তার সবগুলো মানবদেহের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ কাঁঠালের বিচি অনেক সময় দেহে পুষ্টিগুণ যোগায় ।
জাতীয় ফল কাঁঠালের পুষ্টিগুণ ও উপকারিতা অপকারিতা
জাতীয় ফল কাঠালের পুষ্টিগুন ও উপকারিতা অপকারিতা মানব দেহের জন্য গুরুত্ব পূর্ণ ।কাঠালে প্রচুর পরিমানে আয়রন বিদ্যমান রয়েছে যা রক্ত সল্পতা দুর করতে সাহায্য করে । কাঠাল বদ হজম কমাতে খুবই উপকারী ফল । কাঠাল গরিবের পুষ্টির রাজা খাদ্য হিসেবে ব্যবহার হয়ে থাকে কাঠাল কাচা পাকা সব ভাবেই খাওয়া যায় ।কাঠালের বীজ খোসা শিকর এগুলে বিভিন্ন ভাবে খাওয়া যায় ।
কাঠালে থাকা ভিটামিন সি দাঁত ও দাতের মাড়ি এবং চুল সুস্থ রাখে । কাঁঠালে থাকা ভিটামিন এ চোখের দৃষ্টি শক্তি ভালো রাখে ।কাঠাল ব্লাড সুগার নিয়ন্ত্রন রাখে কাঠাল কোষ্টকাঠিন্য দুর করে কাঠাল ত্বকের উজ্জলতা বৃদ্ধি করে এবং বলিরেখা কমিয়ে তারুণ্য ধরে রাখতে সাহায্য করে ।কাঁঠালে রয়েছে ক্যালোরি যা তাড়াতাড়ি শক্তি যোগায় ।কাঠাল খেলে দুগ্ধ দানকারী মায়ের দুধের পরিমান বৃদ্ধি পায় ।
কাঁঠাল গভবতী মায়ের এবং শিশুর সকল পুষ্টির অভাব দুর করে থাকে ।কাঁঠাল খেলে ক্যান্সারের ঝুকি কমে অনেক খানি শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে। কাঁঠালের থাকা ম্যাগনেসিয়াম ও ক্যালসিয়াম হাড়ের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে এবং পাশাপাশি হাড়কে শক্তিশালী করতে সহায়তা করে ।কাঁঠালের প্রচুর পরিমাণে আয়রন থাকে যে আমাদের মুভমেন্টের সহায়তা করে আমাদের সুস্থ রাখতে সহায়তা করে।
কাঁঠালের যে অংশটা হলুদ আমরা দেখি সেটি পুরোপুরি ভিটামিন এ সমৃদ্ধ । কাঠাল বাংলাদেশ এবং শ্রীলংকার জাতীয় ফল হিসেবে পরিচিত।জাতীয় ফল কাঠালের পুষ্টিগুন ও উপকারিতা অপকারিতা অপরিসীম ।
পাকা কাঁঠালের উপকারিতা ও অপকারিতা
পাকা কাঠালে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন রয়েছে মিনারেল কপার ম্যাগনেসিয়াম ভিটামিন এ সি ই যা শরীরের রক্ত তৈরি হয়। অনেক মহিলা আয়রনের ঘাটতির কারণে রক্তস্বল্পতায় ভুগেন ।পাকা কাঁঠাল খেলে সে রক্তস্বল্পতা দূর হবে ।কাঁঠালের প্রচুর ফাইবার এবং প্রোটিন রয়েছে ডায়াবেটিস রোগীরা কাঁঠাল খেতে পারেন এতে তাদের সুগার নিয়ন্ত্রণ থাকবে কোন প্রকার সমস্যা হবে না।
কাঁঠালের প্রচুর পরিমাণ ক্যালসিয়াম রয়েছে যেটি মানবদেহের হাড়কে মজবুত রাখতে সহায়তা করবে বর্তমানে বাজারের রসালো ফলের সমাহার। চারদিক রসালো ফলের ঘ্রানে মুখরিত হয়ে আছে এর মধ্যে একটি রসালো ফল হল কাঁঠাল। যেটিতে রয়েছে হাজারো পুষ্টিগুণ কাঠালে নানারকম রোগ সারাই কাঁঠাল খুবই উপকারী একটি ফল স্বাস্থ্যের জন্য।
জাতীয় ফল কাঁঠালের পুষ্টিগণ ও উপকারিতা ও অপকারিতা মানব দেহের জন্য গুরুত্ব অপরিসীম। পাকা কাঁঠাল বেশি খেলে কিংবা অতিরিক্ত খেলে আপনার পেটের সমস্যা হতে পারে যেমন পেট ফাঁপা অজীণ বমি বমি ভাব ইত্যাদি অতএব পরিমাণ মতো খাওয়ায় ভালো।
কাঁচা কাঁঠালের উপকারিতা
কাঁচা কাঁঠাল মানবদেহের অনেক উপকার করে থাকে কাঁচা কাটালে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন এ থাকে ইহা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় কাঁচা কাঁঠাল রান্না করে খেলে আপনাকে বিভিন্ন ধরনের রোগের সংক্রমণ থেকে দূরে রাখে তাই এটি সবজি হিসেবে খেলে অনেক ধরনের চাহিদা পূরণ হয় কাঁচা কাঁঠাল আপনার ওজন কমাতে সাহায্য করে।
কাঁচা কাঁঠাল হচ্ছে একটি আশ জাতীয় খাবার যা দীর্ঘক্ষণ পেট ভরে রাখতে সহায়তা করে ।কাঁঠালে হজম শক্তি বাড়ায় এবং পেট রাখে পরিষ্কার এটি একটি ফাইবার সমৃদ্ধ ফল কাঁঠাল কলোন ক্যান্সার কমাতে পারে এবং কোষ্ঠকাঠিন্যর মত রোগ দূর করে ।কাঁঠাল হচ্ছে একটি পুষ্টিকর ফল পাকা কাঁঠাল মিষ্টি বেশি কিন্তু কাচা কাঁঠাল ভীষণ উপকার করে থাকে ।
পাকা কাঁঠালের উপকারিতা কাঁচা কাঁঠালের চেয়ে কম নয়। কাঁচা কাঁঠাল খেলে আপনাকে সব সময় পরিমাণ মতো খেতে হবে যাতে করে অতিরিক্ত খাওয়া না হয় যে কোন খাবার জিনিস পরিমাণ মতো খাওয়ায় ভালো ।অতিরিক্ত খেলে আপনার শরীরের ক্ষতি হতে পারে এবং বদহজম গ্যাস্ট্রিক ইত্যাদি বেড়ে যেতে পারে।
কাঁঠালের বিচির উপকারিতা
কাঁঠালের বিচি অনেক উপকারী ইহাতে রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট অনেক প্রকার উদ্ভিদ কাঁঠালের বিচি অনেক মানুষের প্রিয় খাবার ধরা যায় বর্তমানে আমাদের দেশে চলছে কাঁঠালের মৌসুম এখন যদি সবাই না খায় কিন্তু এর বিচি এবং বিচি থেকে তৈরি কৃত অনেক সুস্বাদু খাবার সবাই খাই যেমন কাঁঠালের বিচির হালুয়া বিচির ভর্তা ইত্যাদি। শরীর সুস্থ রাখতে কাঁঠালের বিচি খেতে পারেন।
কাঁঠালের বিচিতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণ থায়ামিন যুক্ত এ দুটোই হচ্ছে ভিটামিন বি এরা শরীরে শক্তি যোগায় মাংসপেশির রক্ষণাবেক্ষণ করে থাকে কাঁঠালের বিচি আয়ুর্বেদিক চিকিৎসার ব্যবহার হয়ে থাকে ডায়রিয়া এবং গ্যাসের সমস্যায় কাঁঠালের বিচির তুলনা হয় না ।এজন্য জাতীয় ফল কাঁঠালের উপকারিতা অনেক বেশি।
পাকা কাঠালের উপকারিতা এবং কাঁচা কাঁঠালের উপকারিতার সাথে সাথে বিচির উপকারিতা কম না আপনি চাইলে দীর্ঘদিন যাবত কাঁঠালের বিচি সংরক্ষণ করে রেখে দিতে পারেন পরে খাওয়ার জন্য ।
কাঁঠাল কাদের খাওয়া উচিত নয়
যাদের কোন প্রকার রক্ত সংক্রান্ত রোগ আছে তাদের একেবারেই কাঁঠাল খাওয়া উচিত নয় ডায়াবেটিস রোগীরা কাঁঠাল খাবেন তবে পরিমিত আকারে খাওয়া ভালো কিছু কিছু মানুষের কাঁচা কিংবা পাকা উভয় প্রকার কাঁঠাল একেবারে খাওয়া উচিত নয় যদি তাদের চিকিৎসক নিষেধ করে থাকেন কাঁঠাল খেলে যাদের অ্যালার্জি হয় কারো আবার বায়ু জনিত বসন্ত ঋত অ্যালার্জি হয় তাদের একেবারে কাঁঠাল খাওয়া ঠিক নয়
আবার কিছু ওষুধ আছে যেগুলো খেলে কাঁঠাল খাওয়া উচিত নয় তা না হলে আপনার ঘুমের সমস্যা সহ নানা সমস্যা করতে পারে যদিও গর্ভকালীন সময় কাঁঠাল উপকার করে থাকে তারপরও যদি গর্ভবতী মায়ের কাঁঠাল খেলে সমস্যা হয় তাহলে সেটা একেবারে খাওয়া ঠিক হবে না ।এখন চলছে কাঁঠালের মৌসম যদি আপনি সকল সময় ঘুরতে ফিরতে কাঁঠাল খেয়েচলেছেন তাহলে আপনার সমস্যা হতে পারে ।মনে রাখবেন যে কোন জিনিসের অপকারিতা থাকতে পারে সে বিষয়ে খেয়াল রাখতে হবে।
কাঁঠাল খেলে কি ক্ষতি হয়
অতিরিক্ত কাঁঠাল খেলে হজমের সমস্যা হতে পারে কাঁঠালের চর্বির পরিমাণ কম থাকায় ওজন বাড়ার কোনো সম্ভাবনা নাই ।যাদের কিডনি রোগে আক্রান্ত পটাশিয়ামের মাত্রা বেশি তাদের কাঁঠাল খাওয়া ঠিক নয় ।আপনি যদি সার্জারি রোগী হয়ে থাকেন তাহলে পরিমাণ মতো কাঁঠাল খেতে হবে। যারা ডায়াবেটিস রোগী রয়েছেন তাদের কাঁঠাল বেশি খাওয়া ঠিক নয় তাদের ক্ষতি হতে পারে ।
জাতীয় ফল কাঁঠালের পুষ্টিগুন উপকারিতা অনেক তবে অবশ্যই প্রতিটি মানুষকে সঠিক নিয়মে পরিমাণ মতো শুধু কাঁঠাল নয় সকল প্রকার ফল কিংবা খাদ্য খাওয়া উচিত।
লেখকের মন্তব্য
আমার মতে জাতীয় ফল কাঁঠালের পুষ্টিগণ ও উপকারিতা ও অপকারিতা অনেক ।পাকা কিংবা কাঁচা কাঁঠাল যাই হোক না কেন প্রত্যেকের উচিত নিয়ম করে কাঁঠাল সহ যেকোনো খাবার খাওয়া ।তাহলে আপনার দেহ থাকবে সুস্থ এবং মন থাকবে প্রফুল্ল। একজন মানুষের শরীর যদি সুস্থ থাকে তাহলে মন সুস্থ থাকবে এটাই স্বাভাবিক ।সুস্থ থাকতে হলে আপনাকে অবশ্যই পরিমাণ মতো খাবার খেতে হবে।
উপসংহার
আমার এ আর্টিকেলটি যদি আপনাকে ভালো লেগে থাকে কিংবা আপনার সামান্য উপকারে আসে তাহলে বন্ধু-বান্ধব সহ আত্মীয় স্বজনের মাঝে শেয়ার করুন ধন্যবাদ পরবর্তী আর্টিকেল পেতে ভিজিট করুন অথবা সঙ্গে থাকুন।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url